হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট জানিয়েছেন, প্রয়োজনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন। বুধবার (৪ জুন) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প সরকার কৌশলগতভাবে এগোচ্ছে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না। এতে স্পষ্ট যে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়াকে পুরোপুরি ছাড় দেবে না।
ব্রিফিংয়ে ক্যারোলাইন লেভিট আরও জানান, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে ‘গাজা রিলিফ ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়েছে এবং সেখানে সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাকেও গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই ঘটনার তদন্ত ও প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে লেভিট জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার বিষয়ে আগে থেকে জানতেন না। তবে তিনি এখনো যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আশাবাদী। ট্রাম্প বারবার দাবি করে এসেছেন, তার আমলে রাশিয়া কখনো ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারত না এবং তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধ থামাতে পারতেন। যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ কবে থামবে, এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট পূর্বাভাস নেই।
এছাড়া তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আসন্ন ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেবেন এবং বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইতিবাচক বাণিজ্য চুক্তিতে যুক্ত রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের অংশ হিসেবে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইরানকে একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন। লেভিট সতর্ক করে বলেন, যদি ইরান এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তবে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।
এই বিবৃতিগুলো থেকে স্পষ্ট, ট্রাম্প প্রশাসন একদিকে যেমন কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী, অন্যদিকে প্রয়োজনে কঠোর অবস্থান গ্রহণেও প্রস্তুত।