মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে এবার আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। ২৪ জুন, মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেন, “আমরা মধ্যপ্রাচ্যে আর উত্তেজনার ঘূর্ণাবর্ত দেখতে চাই না। আশা করি, এই যুদ্ধবিরতি দ্রুত কার্যকর হবে এবং সব পক্ষ সংলাপের টেবিলে ফিরে আসবে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সেনা অভিযান কখনোই টেকসই শান্তি আনতে পারে না। প্রকৃত সমাধান আসবে কেবল আলোচনার মাধ্যমে।”
চীনের এই প্রতিক্রিয়া এলো এমন এক সময়ে, যখন ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে ইরান ও ইসরায়েল ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে এবং এটি মঙ্গলবার গ্রিনিচ সময় ভোর ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছে। সংঘাতে দুই পক্ষই বড় ধাক্কা খেয়েছে। ইরানি পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন এবং আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। অন্যদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৩০ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ।
চীন শুরু থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিরসনে কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। বেইজিংয়ের মতে, এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা শুধু গোলাবারুদ দিয়ে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। গুও জিয়াকুন তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের এবং যুদ্ধের পথ থেকে ফিরে এসে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই।” বিশ্লেষকদের মতে, চীনের এই বার্তা আন্তর্জাতিক মহলে শান্তিচেষ্টার পক্ষে একটি ইতিবাচক বার্তা এবং মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক সমাধানের পথ প্রশস্ত করতে পারে।