রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আবারও বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ এপ্রিল) ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিই এই যুদ্ধের সূচনা করেন।
ট্রাম্প বলেন, “যখন কেউ যুদ্ধ শুরু করে, তখন ধরে নেওয়া হয় সে জানে কীভাবে সেই যুদ্ধ জেতা যাবে। আপনি এমন কারো সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেন না, যে আপনার চেয়ে ২০ গুণ শক্তিশালী। তারপর আবার আশা করেন যে অন্যরা আপনাকে অস্ত্র দেবে, ক্ষেপণাস্ত্র দেবে—এটা কি বাস্তবসম্মত?”
তিনি শুধু ইউক্রেনীয় নেতাকেই নয়, যুদ্ধের জন্য দোষ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও। ট্রাম্প বলেন, “লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই তিনজনের কারণে। আমি বলব—প্রথমত পুতিন, দ্বিতীয়ত বাইডেন, যিনি জানেন না তিনি কী করছেন, আর তৃতীয়জন জেলেনস্কি। এখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে এই যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করা।”
যুদ্ধ বন্ধে তিনি আশাবাদী বলেও জানান। তার ভাষায়, “খুব শিগগিরই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কিছু ভালো প্রস্তাব আসবে। আমি সে চেষ্টা করছি।” তবে ঠিক কী ধরনের প্রস্তাব আসতে পারে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে, যেটিকে তারা ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। শুরুতে কিয়েভসহ প্রধান শহরগুলোতে ট্যাংক ও হেলিকপ্টার হামলা চালানো হয়। এরপর সংঘাত ক্রমে কেন্দ্রীভূত হয়েছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল এবং সীমান্তবর্তী এলাকা—বিশেষ করে খারকিভে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন বক্তব্য নতুন করে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিতর্ক উসকে দিয়েছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগ চলছে এবং ইউক্রেন পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি