রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, বারবার শান্তি প্রচেষ্টা চালালেও ইউক্রেন সেগুলো উপেক্ষা করে ধারাবাহিকভাবে সংঘাত উসকে যাচ্ছে।
রোববার (১১ মে) মস্কোয় অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুতিন বলেন, রাশিয়া ‘কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই’ ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ছিল, কিন্তু কিয়েভ সেই প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে উল্টো হামলা জোরদার করেছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যোগ দিতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা মস্কো সফর করেন। এ সময় পুতিন জানান, রাশিয়া ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকবার সংঘাত কমানোর জন্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে, যার মধ্যে ইস্টার যুদ্ধবিরতিও ছিল।
কিন্তু ইউক্রেন প্রতিবারই যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ পুতিনের। তিনি জানান, “ইউক্রেন অন্তত পাঁচ হাজার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।”
বিশেষভাবে বিজয় দিবসের (৯ মে) আগে তৃতীয়বারের মতো একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় রাশিয়া। কিন্তু সে সময়ও ইউক্রেন পাল্টা জবাব দেয়নি। বরং রুশ প্রেসিডেন্টের ভাষায়, “আমরা ৫ মে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার পরপরই, কিয়েভ সরকার ৭ মে রাত থেকে একাধিক বড় আকারের হামলা শুরু করে।”
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির সময় ইউক্রেন ৫০০-র বেশি ড্রোন ব্যবহার করে রুশ ভূখণ্ডে আক্রমণ চালিয়েছে। কুর্স্ক ও বেলগোরোড সীমান্তে অন্তত পাঁচবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে এবং কৃষ্ণ সাগরেও একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
৮, ৯ ও ১০ মে—তিন দিনব্যাপী এই হামলাকে পুতিন রাশিয়ার ‘পবিত্র দিনগুলোতে’ শান্তি ভঙ্গের প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট আবারও পশ্চিমাদের ইঙ্গিত করে বলেন, যুদ্ধ থামাতে হলে বাস্তবতার মাটিতে দাঁড়িয়ে ইউক্রেনের উচিত আলোচনায় ফিরা।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি এখন ইউক্রেনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার দিকে।