আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
টানা দ্বিতীয়দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। এনিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এ শহরটিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই হাজার সেনা মোতায়েন করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবিসি বলছে, নথিহীন অভিবাসীদের ধরতে শুক্রবার থেকে অভিযান শুরু করে দেশটির প্রশাসন। তা নিয়ে শহরটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ রুপ নেয় সংঘর্ষে। আর এটি ঠেকাতেই ন্যাশনাল গার্ডের সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।
শনিবার হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজ্যে যে অনাচার বৃদ্ধি পেয়েছে তা মোকাবিলা করার জন্য ট্রাম্প রক্ষীদের মোতায়েন করছেন।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে নাখোশ ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ডেমোক্রেট এই নেতা বলেছেন, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উস্কানিমূলক এবং এতে কেবল উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের দক্ষিণে শনিবার বিক্ষোভের সময় কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়ে ফেডারেল এজেন্টদের। তারা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস ছুড়ে।
এ ছাড়া শুক্রবার রাতেও লস অ্যাঞ্জেলেসে ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টর (আইসিই) সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আইসিই-র এজেন্টরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে অভিযান চালানোর সময় সংঘর্ষ হয়। অভিযানে আইসিই অন্তত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারের পরেই বিক্ষোভকারীরা দেশটির ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারে হাজির হয় এবং তাদের মুক্তি দাও, মুক্তি দাও বলে স্লোগান দেয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইসিই’র অভিযানে চলতি সপ্তাহে ১১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে। এর মধ্যে শুধু শুক্রবারেই ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলেছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সহিংস জনতা আইসিই কর্মকর্তা এবং আইন শৃঙ্খলা এজেন্টের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অপরাধীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করার জন্য এই অভিযানগুলো অপরিহার্য। এই সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে, ক্যালিফোর্নিয়ার নির্বোধ ডেমোক্র্যাট নেতারা তাদের নাগরিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করেছেন।
তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্যাশনাল গার্ডের দুই হাজার সেনাকে মোতায়েনের জন্য একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন।