যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইহুদি শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং জাতিগত হয়রানির অভিযোগ এনে ৬ কোটি ডলারের ফেডারেল অনুদান বাতিল করেছে দেশটির স্বাস্থ্য ও মানব সেবা মন্ত্রণালয় (এইচএইচএস)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, সোমবার (২০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করে।
এইচএইচএস এক বিবৃতিতে জানায়, “ইহুদিবিদ্বেষ এবং জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ার দায়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুবছরের গবেষণা অনুদান বাতিল করা হয়েছে।”
এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে আগের এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, বাতিল হওয়া অনুদানগুলোর দায়ভার তারা নিজেরা বহন করতে পারছে না এবং গবেষকদের জন্য বিকল্প তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
এটি শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দ আরও প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের ফেডারেল অনুদান ও চুক্তি স্থগিত বা বাতিল করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়টি ভর্তি প্রক্রিয়ায় জাতিগত পরিচয়কে গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে এবং ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মাধ্যমে ইহুদি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ফেলছে।
হার্ভার্ড ইতিমধ্যে এই অনুদান বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু করেছে।
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, হার্ভার্ডের পাশাপাশি নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ও একই ধরনের ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগে ট্রাম্প প্রশাসনের তদন্ত ও নজরদারির আওতায় রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা খাতে রাজনৈতিক চাপ ও জাতিগত বৈষম্যের ইস্যু নতুন মাত্রা নিচ্ছে—এটি তারই সাম্প্রতিক উদাহরণ।