ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। আজ রোববার (১৫ জুন) নতুন করে একে অপরের ওপর পাল্টা হামলা চালিয়েছে দুই দেশ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, যার ফলে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় আবারও সাইরেন বেজে ওঠে এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করতে বলেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলও বসে থাকেনি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় আবার কেঁপে উঠেছে তেহরান। শহরের পশ্চিমাঞ্চলের একাধিক আবাসিক এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আকাশজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ-এর মুখপাত্র এফি ডেফরিন জানিয়েছেন, তারা এক মুহূর্তের জন্যও আক্রমণ বন্ধ করছে না, বরং তেহরানের অভ্যন্তরে নতুন নতুন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অব্যাহত রয়েছে।
সিএনএনের বরাতে জানা গেছে, গত দুই দিনে ইরানের হামলায় ইসরায়েলে তিন শিশুসহ অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৩৮৫ জন, যাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইসরায়েলজুড়ে অন্তত ২০০টিরও বেশি রকেট ছোড়া হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে ২২টি সুনির্দিষ্ট স্থানে আঘাত হেনেছে।
একই সময়ে ইরানের রাজধানী তেহরানেও ইসরায়েলের চালানো পাল্টা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭৮ জন। এর মধ্যে একটি আবাসিক ভবনে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন ৬০ জন, যাদের মধ্যে ২০ জন শিশু। আহতের সংখ্যা প্রায় ৮০০।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে এক ভয়াবহ সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা। দুই দেশের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি শুধু অঞ্চলিক নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলছে না, বরং গোটা বিশ্বের দৃষ্টি এখন টান টান উত্তেজনায় ভরা এই যুদ্ধঘন পরিবেশের দিকে।