আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল— এমন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল হামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দেশটির সামরিক মহড়া, গোলাবারুদ সরানোসহ একাধিক প্রস্তুতি লক্ষ্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ইরানে সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরায়েলের হামলার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ইরানের সঙ্গে ইউরেনিয়াম অপসারণ চুক্তি না হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে।”
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ইসরায়েল মনে করছে— বর্তমানে ইরানের সামরিক সক্ষমতা দুর্বল। বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সম্প্রতি আঘাত হানার পর এমন ধারণা জোরালো হয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা এসেছে, ইরান বড় ধরনের উস্কানি না দিলে তারা ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলায় সরাসরি অংশ নেবে না। যদিও হামলার ক্ষেত্রে পূর্ণ সফলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রয়োজন— এমন ধারণা রয়েছে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের।
অন্যদিকে, ইরান তার অবস্থানে অনড় রয়েছে। সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, “ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধের দাবি বড় ধরনের ভুল। এই বিষয়ে আলোচনায় ফলপ্রসূ কিছু হবে বলে মনে করি না।”
বর্তমানে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে আলোচনায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী, ইরান যেন ১ শতাংশ ইউরেনিয়ামও সমৃদ্ধ করতে না পারে। তবে ইরান বলছে, এটা তাদের সার্বভৌম অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি এবং মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলো পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কূটনৈতিক ব্যর্থতা হলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনার সূত্রপাত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স