কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এ হামলার রেশ না কাটতেই ভারত হঠাৎ করে সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়, যা দু’দেশের মধ্যে এক ঐতিহাসিক সমঝোতা হিসেবে বিবেচিত ছিল। ভারতের এই সিদ্ধান্তে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
পাকিস্তান বলছে, ভারতের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের শামিল। ইসলামাবাদ বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাকিস্তানের আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী আকিল মালিক জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ অন্তত তিনটি আইনি পদক্ষেপ বিবেচনা করছে—এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাংকের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন (যা চুক্তির মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে), হেগের স্থায়ী সালিশি আদালতে মামলা দায়ের এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) মাধ্যমে ১৯৬৯ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন দ্য ল’ অব ট্রিটিজ ভঙ্গের অভিযোগ আনা।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবেন বলে জানানো হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, “আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছি এবং স্পষ্টভাবে বলছি—এই পরিস্থিতি যেন কেউ আরও জটিল না করে তোলে।” তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র সার্বিক পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
এই ঘটনাপ্রবাহ দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক ও পরিবেশগত উত্তেজনা নতুন করে উসকে দিয়েছে, যার প্রভাব বহুদূর পর্যন্ত পড়তে পারে।