২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার:
গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা। তিন দেশের নেতারা মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতির দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজায় মানবিক সংকট অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইসরায়েল যে পরিমাণ খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে, তা অত্যন্ত অপ্রতুল। আমরা ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করে এবং অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেয়।”
তিন দেশের নেতারা জানান, এই সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে মানবিক নীতিমালার ভিত্তিতে সহায়তা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি হামাসকে অকুণ্ঠভাবে সব জিম্মি মুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাদের ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারের মানবিক সহায়তা অস্বীকার করাকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে, ইসরায়েলি নেতাদের ঘৃণ্য ভাষার ব্যবহার এবং গাজাবাসীকে বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তুচ্যুত করার হুমকিরও কঠোর নিন্দা জানানো হয়েছে।
নেতারা বলেন, “ইসরায়েল হামলার শিকার হয়েছে, আর আমরা বরাবরই তাদের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিযান অযৌক্তিক মাত্রায় পৌঁছেছে, যা মেনে নেওয়া যায় না।”
তারা হুঁশিয়ারি দেন, ইসরায়েল যদি সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখে এবং মানবিক সহায়তার ওপর নিষেধাজ্ঞা না তোলে, তাহলে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ, এমনকি টার্গেটেড নিষেধাজ্ঞার দিকেও যেতে প্রস্তুত।
এছাড়া পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনেও তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “এ ধরনের বসতি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং এটি দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।”
তিন দেশের নেতারা যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান। তারা বলেন, “এই আলোচনার লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি, ও দুই রাষ্ট্রভিত্তিক রাজনৈতিক সমাধানের পথ উন্মুক্ত করা।”
তারা আরও বলেন, নিউইয়র্কে সৌদি আরব ও ফ্রান্সের সহ-আয়োজনে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের মাধ্যমে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, “আমরা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, আঞ্চলিক অংশীদার, ইসরায়েল এবং জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করে গাজার ভবিষ্যৎ বিষয়ে একটি টেকসই পরিকল্পনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকেই শান্তির স্থায়ী পথ হিসেবে দেখি এবং এর জন্য সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব।”
গাজা পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার যৌথ বিবৃতি
২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার:
গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা। তিন দেশের নেতারা মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতির দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজায় মানবিক সংকট অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইসরায়েল যে পরিমাণ খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে, তা অত্যন্ত অপ্রতুল। আমরা ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করে এবং অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেয়।”
তিন দেশের নেতারা জানান, এই সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে মানবিক নীতিমালার ভিত্তিতে সহায়তা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি হামাসকে অকুণ্ঠভাবে সব জিম্মি মুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাদের ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারের মানবিক সহায়তা অস্বীকার করাকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে, ইসরায়েলি নেতাদের ঘৃণ্য ভাষার ব্যবহার এবং গাজাবাসীকে বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তুচ্যুত করার হুমকিরও কঠোর নিন্দা জানানো হয়েছে।
নেতারা বলেন, “ইসরায়েল হামলার শিকার হয়েছে, আর আমরা বরাবরই তাদের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি। কিন্তু সাম্প্রতিক অভিযান অযৌক্তিক মাত্রায় পৌঁছেছে, যা মেনে নেওয়া যায় না।”
তারা হুঁশিয়ারি দেন, ইসরায়েল যদি সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখে এবং মানবিক সহায়তার ওপর নিষেধাজ্ঞা না তোলে, তাহলে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ, এমনকি টার্গেটেড নিষেধাজ্ঞার দিকেও যেতে প্রস্তুত।
এছাড়া পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনেও তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “এ ধরনের বসতি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং এটি দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।”
তিন দেশের নেতারা যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান। তারা বলেন, “এই আলোচনার লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি, ও দুই রাষ্ট্রভিত্তিক রাজনৈতিক সমাধানের পথ উন্মুক্ত করা।”
তারা আরও বলেন, নিউইয়র্কে সৌদি আরব ও ফ্রান্সের সহ-আয়োজনে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের মাধ্যমে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, “আমরা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, আঞ্চলিক অংশীদার, ইসরায়েল এবং জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করে গাজার ভবিষ্যৎ বিষয়ে একটি টেকসই পরিকল্পনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকেই শান্তির স্থায়ী পথ হিসেবে দেখি এবং এর জন্য সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব।”