মিয়ানমারে আবারও ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শুক্রবার, ১১ এপ্রিল সকালে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.১। দেশটির জাতীয় ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (NCS) এক বিবৃতির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে।
জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র জানায়, ভূমিকম্পটি ভূমির প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হয়েছিল, যা তুলনামূলকভাবে অগভীর হওয়ার কারণে আফটারশকের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পের ফলে স্থানীয়ভাবে হালকা কম্পন অনুভূত হলেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৭। এটিকে দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। শক্তিশালী এই কম্পনে বহু ঐতিহাসিক গির্জা, আবাসিক ভবন ও আধুনিক স্থাপনা ধসে পড়ে। প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬,০০০-এরও বেশি মানুষ, আর আহত হয়েছেন প্রায় ৫,০০০ জনের মতো। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচে এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভূমিকম্পের পরপরই আন্তর্জাতিক সহায়তা পৌঁছাতে শুরু করে। চীন, রাশিয়া ও ভারত তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকারী দল পাঠায় দুর্গত এলাকায়। তাদের পরে বাংলাদেশ থেকেও একটি দল পাঠানো হয়, যারা ভবনের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার এবং শনাক্তকরণে কাজ করছে।
মিয়ানমারে চলমান এই ভূমিকম্প পরিস্থিতি মানুষের মনে ভয় ও উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। আফটারশকের আশঙ্কায় অনেকে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন। দেশটির প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সম্মিলিতভাবে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।