ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার মধ্যে উত্তর ইসরায়েলের হাইফা শহরে তেল শোধনাগারে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শুক্রবার রাতভর ইরান থেকে ছোড়া অন্তত ৮০টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে প্রায় ৪০টি সরাসরি হাইফায় আঘাত হানে। এসব হামলায় হাইফার প্রধান তেল শোধনাগার এবং সংশ্লিষ্ট পাইপলাইন ও ট্রান্সমিশন লাইনগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শোধনাগার পরিচালনাকারী সংস্থা ‘বাজান’ জানায়, প্রধান শোধনাগারগুলো এখনো চালু থাকলেও কিছু সহায়ক সুবিধা সতর্কতামূলকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে এবং পুরো ব্যবস্থার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।
টাইমস অব ইসরায়েলের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র হাইফার নিকটবর্তী তামরা শহরের একটি বাড়িতে সরাসরি আঘাত হানে, যার ফলে চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। তবে এসব হামলার ফলে হাইফা অঞ্চলের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
এর আগে ইসরায়েল প্রথমে শুক্রবার ভোরে তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরে একযোগে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক স্থাপনা ও বিজ্ঞানীদের আবাসস্থল। এসব হামলায় শতাধিক সামরিক ও বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।
এই পাল্টাপাল্টি হামলার ধারাবাহিকতায় ইরানও দ্বিতীয় রাতের মতো ইসরায়েলের তেল আবিব, হাইফা, ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিচ্ছেন, এই সংঘাত এখন কেবল আঞ্চলিক উত্তেজনাই নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়তে পারে গোটা মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্ব অর্থনীতিতে।