হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা কেবল একটি পূর্ণাঙ্গ বন্দিমুক্তি চুক্তির ভিত্তিতে আলোচনায় রাজি, যাতে সব জিম্মির মুক্তি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের অবমুক্তি নিশ্চিত হবে এবং যুদ্ধের একটি স্থায়ী অবসান সম্ভব হবে।
হামাসের শীর্ষ আলোচক খালিল আল-হাইয়া বলেন, “আমরা এমন কোনো আংশিক চুক্তি গ্রহণ করবো না, যা কেবলমাত্র ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করে।”
ইসরায়েলের প্রস্তাব অনুযায়ী, ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ১০ জন জিম্মি মুক্ত করার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। ইসরায়েলি তথ্যমতে, বর্তমানে প্রায় ৫৯ জন জিম্মি এখনো গাজায় আটক রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতদের অধিকাংশই ঘরছাড়া সাধারণ মানুষ, যারা আশ্রয়শিবিরে তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন। আল-মাওয়াসি এলাকায় এক তীব্র বিস্ফোরণে তাঁবুগুলোতে আগুন ধরে গেলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে শিশুরাও ছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত দুই দিনে ১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে এসব হামলার বিস্তারিত নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
গাজায় মানবিক পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ১২টি বড় সাহায্য সংস্থার প্রধানরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম “সম্পূর্ণ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে” পৌঁছেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। সেই ঘটনার জবাবে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ৫১ হাজার ৬৫ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।