যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ভারত সব ধরনের মার্কিন পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নিতে রাজি হয়েছে। তবে এই দাবি দ্রুত নাকচ করেছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর জানান, “বাণিজ্য আলোচনা এখনও চলছে। এখনই কিছু চূড়ান্ত বলা যাবে না।”
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত এমন একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে তারা আমাদের পণ্যের ওপর কোনো শুল্ক রাখবে না।তবে জয়শঙ্করের বক্তব্য ছিল একেবারে বিপরীত। তিনি বলেন, চুক্তি হতে হবে পারস্পরিকভাবে লাভজনক ও কার্যকর।
২০২০ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ২৭% শুল্ক বসায়। ট্রাম্পের দেওয়া ৯০ দিনের সময়সীমা শেষ হতে চলায়, ভারত দ্রুত চুক্তি সম্পন্ন করতে চায়। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
ট্রাম্প বলেন, তিনি চান না অ্যাপল ভারতে পণ্য উৎপাদন করুক। কারণ, ভারত বিশ্বের সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর একটি। অবশ্য অ্যাপল ইতোমধ্যে আইফোন উৎপাদনের একটি বড় অংশ চীন থেকে ভারতে সরিয়ে নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে অপরের ওপর শুল্ক কমাতে একমত হলেও, ভারত এখনো এমন কোনো সুবিধা দেয়নি। ট্রাম্পের কথিত ‘জিরো ফর জিরো’ নীতির বিপরীতে ভারতের বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সুবিধা আমেরিকা পাবে, তা ভারতকেও পেতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় অঞ্চলের সঙ্গে একাধিক বাণিজ্য চুক্তি করেছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তিতে হুইস্কি ও গাড়ির মতো পণ্যে শুল্ক হ্রাস। ইউরোপীয় ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (ইএফটিএ) সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও আলোচনার গতি বেড়েছে।
ট্রাম্পের দাবির বিপরীতে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট—চুক্তি হবে, তবে শর্ত থাকবে ভারতের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হলেও, শুল্ক ছাড়ের প্রশ্নে দিল্লি আপোষে রাজি নয়।