গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের ফলে ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই গণহত্যা বন্ধে আরব লীগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। শুক্রবার ভোরে দেওয়া বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘আমরা আমাদের আরব ও ইসলামি জাতির পাশাপাশি বিশ্বের স্বাধীনচেতা জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই, যাতে তারা ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগের জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সেখানে ৪৯ হাজার ৬১৭ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫০ জন আহত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও হাজারো মানুষ আটকা পড়ে আছে, যাদের বেশিরভাগেরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে। ইসরায়েলের বোমা হামলা ও স্থল অভিযানে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েল এখনও কোনো চাপের তোয়াক্কা করছে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল এবং ২০০-এর বেশি মানুষকে জিম্মি করা হয়েছিল। বর্তমানে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি এখনও হামাসের বন্দিদশায় রয়েছে।
এই সংকট নিরসনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে, আরব লীগ ও ওআইসির উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।