বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিকে “সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য চুক্তি” বলে অভিহিত করেছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাপানে কৃষিপণ্য, গাড়ি ও শিল্পজাত পণ্যের রপ্তানির সুযোগ বাড়বে। অন্যদিকে, জাপান যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চুক্তির ফলে জাপান ১৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়েছে, যা মার্কিন ব্যবসা ও শিল্পের জন্য বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ট্রাম্প বলেন, “এই চুক্তি দুই দেশের জন্যই লাভজনক। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সমঝোতার জন্য কাজ করেছি।”
চুক্তির খবরে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। টোকিওর নিক্কেই ২২৫ সূচক প্রায় ২% বেড়ে যায়, যেখানে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটা, নিশান ও হোন্ডার শেয়ারের দামও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে, জাপানের বাণিজ্য আলোচক রিওসেই আকাজাওয়া জানিয়েছেন, তারা সফলভাবে আলোচনা সম্পন্ন করেছেন। তবে চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এই চুক্তি এমন এক সময়ে স্বাক্ষরিত হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের ‘লিবারেশন ডে’ নীতির আওতায় বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ বৈশ্বিক বাজারে উদ্বেগ তৈরি করেছিল। অনেকের মতে, এই চুক্তি সেই উত্তেজনা হ্রাসে সহায়ক হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সমঝোতা জাপানের জন্যও কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও শিগগিরই একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে।