ভারতের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। তদন্তে জানা গেছে, উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের মাত্র তিন সেকেন্ড পরেই ইঞ্জিনের জ্বালানি সুইচগুলো হঠাৎ ‘চালু’ (ON) থেকে ‘বন্ধ’ (CUTOFF) হয়ে যায়, ফলে ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে।
গত মাসে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় ২৬০ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানির প্রবাহ বন্ধ হওয়ার পর উড়োজাহাজটির গতি দ্রুত হ্রাস পায় এবং সেটি নিচের দিকে পড়তে শুরু করে।
ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে পাওয়া সংলাপে এক পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞেস করেন, “আপনি কেন জ্বালানি বন্ধ করলেন?” উত্তরে অপর পাইলট জানান, “তিনি বন্ধ করেননি।” তদন্ত দল এই কথোপকথনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে পারেনি, ঠিক কোন পাইলট এই কথা বলেছেন এবং কার দ্বারা ‘মে ডে’ সংকেত পাঠানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক জন কক্স জানান, ভুল করে জ্বালানির সুইচ বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। তার ভাষায়, “এই সুইচগুলো এমন নয় যে একটু নড়লেই বন্ধ হয়ে যাবে।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “কাটঅফ” পজিশনে গেলে ইঞ্জিন তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতি, যেমন ইঞ্জিনে আগুন লাগলে, ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তদন্ত প্রতিবেদনে এখনও পর্যন্ত বোয়িং ৭৮৭–৮ পরিচালনাকারী বা প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে কোনো সতর্কতা বা সুপারিশ জারি করা হয়নি।
এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।