ইসলামাবাদ, ৬ মে ২০২৫ – কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ সতর্ক করে বলেছেন, “ভারত যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে, এবং সেই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য পাকিস্তানও সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগ
পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের অভিযোগ—ভারত আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া O বেলুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করছে। খাজা আসিফ বলেন:
তিনি আরও জানান, আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাগুলোর সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW-এর সংযোগ রয়েছে।
“২০১৬ ও ২০১৭ সালে ভিডিও ফুটেজসহ ভারতীয় অর্থ সহায়তার প্রমাণ আমরা জাতিসংঘে জমা দিয়েছি।”
গতকাল ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এমন তথ্য রয়েছে, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর হঠাৎ করে সামরিক আগ্রাসন চালাতে পারে।
“আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু যদি কেউ আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানে, তাহলে তার জবাব দেওয়ার অধিকার ও সক্ষমতা আমাদের রয়েছে,” — বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারত যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে এবং পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি সংঘটিত বন্দুক হামলার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটেই এই বক্তব্য দেন তিনি।
সোমবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে খাজা আসিফ জানান, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে এমন তথ্য রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় ভারত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর হঠাৎ করে হামলা চালাতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে আমাদের সার্বভৌমত্বে কেউ আঘাত করলে তার উপযুক্ত জবাব আমরা দেব।”
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের ভেতর রাজনৈতিক চাপে থাকা মোদি সরকার কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী আবেগকে উস্কে দিতে চায়। অন্যদিকে, পাকিস্তানও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাইরের শত্রুকে সামনে এনে জনগণের দৃষ্টি ফেরাতে চায়।
International reaction and concern
দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে এই ধরণের উত্তেজনা আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ইতিমধ্যে উভয় দেশকে সতর্কতা, সংলাপ এবং উত্তেজনা প্রশমন করার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পেহেলগামে হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে খাজা আসিফ বলেন, তদন্তেই বোঝা যাবে, হামলার পেছনে ভারত নিজে ছিল কিনা কিংবা অন্য কোনো গোষ্ঠী এর সঙ্গে জড়িত। সেইসঙ্গে নয়াদিল্লির আনা অভিযোগের ভিত্তিহীনতা স্পষ্ট হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, “মোদি তার রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করতে গোটা অঞ্চলকে পরমাণু যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।” এ সময় পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে যে অভিযোগ করে আসছে—ভারত খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান অঞ্চলে সন্ত্রাসে অর্থ জোগায়—তা আবারও তুলে ধরেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ভিডিওসহ প্রমাণ জাতিসংঘে জমা দেওয়া হয়েছে।
খাজা আসিফ আরও বলেন, সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে পরিচালিত হামলাগুলোতেও ভারতের জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। তার ভাষায়, “ভারত সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবং এটি আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি।”
এই ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন শক্তিধর দেশ দুই দেশকে সংলাপে বসে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই উত্তেজনা আরও বাড়ে, তবে তা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।