লন্ডন, ৩ মার্চ ২০২৫: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার বলেছেন, “ব্রিটিশ কাজ, ব্রিটিশ দক্ষতা এবং ব্রিটিশ অর্থনীতি একত্রিত হবে আমাদের জাতীয় স্বার্থে।” স্টারমার তার সাম্প্রতিক এক বক্তব্যে বলেছেন যে, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে “শান্তির জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রাখার” চেষ্টা করবে।
স্টারমার বলেন, “অর্থনৈতিক নিরাপত্তাই জাতীয় নিরাপত্তা,” এবং এই অবস্থানে ইউক্রেনের জন্য সমর্থন প্রদানে ব্রিটেন দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ইউক্রেনের পরিস্থিতি এবং যুদ্ধের অবসান নিয়ে তার সহানুভূতির কথা ব্যক্ত করেন তিনি এবং ব্রিটিশ জাতির অবদানকে একত্রিত করে শান্তির প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে আগ্রহী।
ইউরোপের নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বের স্বাগত জানালেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ওয়াশিংটন, ৩ মার্চ ২০২৫: মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দের নেতৃত্ব গ্রহণে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা ইউরোপের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বিষয়ে নেতৃত্ব নেওয়া স্বাগত জানাই।” ওয়াল্টজ জানান, ইউরোপীয় নেতাদের এমন উদ্যোগ অবশ্যই তাদের সক্ষমতার উপর নির্ভরশীল এবং ইউরোপকে তাদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য আরও বিনিয়োগ করতে হবে।
এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিষয়েও আলোচনা করছেন এবং আগামী পদক্ষেপ নির্ধারণে মতবিনিময় অব্যাহত রাখছেন। তবে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন রাজনীতিবিদদের মধ্যে উদ্বেগও রয়েছে।
শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন, জেলেনস্কি বলছেন
কিয়েভ, ৩ মার্চ ২০২৫: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, “শান্তি যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজন”। তিনি বলেন, “আমরা আমেরিকা এবং আমাদের ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি এবং শান্তির পথে আমাদের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আশা রাখি।”
জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের জনগণ শান্তি চায়, কারণ যুদ্ধ তাদের শহর এবং জনসাধারণকে ধ্বংস করছে, এবং জীবনহানি ঘটাচ্ছে। তিনি বিশ্বাস করেন, উভয় পক্ষের মধ্যে গভীর কূটনৈতিক আলোচনা শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।
ট্রাম্প এবং তার মিত্ররা জেলেনস্কির বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন
ওয়াশিংটন, ৩ মার্চ ২০২৫: যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার রাজনৈতিক মিত্ররা আবারও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, “আমেরিকা আর এটি সহ্য করবে না। এই লোকটি [জেলেনস্কি] শান্তি চায় না যতক্ষণ না আমেরিকা তার পাশে আছে।”
ট্রাম্পের সমালোচনার পর, রিপাবলিকান দলের সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, “আমরা জানি না, ভবিষ্যতে আমরা কি জেলেনস্কির সঙ্গে আবার ব্যবসা করতে পারব।”
এদিকে, ট্রাম্প তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছেন, তবে এখনও পর্যন্ত হোয়াইট হাউস এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করেনি।