রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের বিরল খনিজ সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ, যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের নতুন মাত্রা আনতে পারে।
বিরল খনিজ পদার্থ আধুনিক প্রযুক্তি, সামরিক সরঞ্জাম এবং নবায়নযোগ্য শক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলো চীনের ওপর নির্ভরশীল, কারণ বিশ্বব্যাপী বিরল খনিজের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ হলো চীন। পুতিনের এই প্রস্তাব যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের খনিজ সরবরাহ চেইনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে।
ইউক্রেন বর্তমানে যুদ্ধবিধ্বস্ত, এবং দেশটির খনিজ সম্পদ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। পুতিনের প্রস্তাবের মধ্যে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের উল্লেখ থাকায় কিয়েভের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বিষয়টিকে দেশটির সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখতে পারেন।
ওয়াশিংটন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে আগ্রহ দেখায়, তবে এটি বর্তমান নিষেধাজ্ঞার কাঠামোতে কীভাবে ফিট করবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে।
বিশ্ব রাজনীতিতে এটি নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থও মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।
Leave a Reply