এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক ভয়াবহ ও সম্ভাব্যভাবে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের সূচনার ইঙ্গিত দেয়। ইসরায়েলের “Operation Rising Lion” নামের এই সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তেহরানে সরাসরি হামলা, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মাত্রা এক নতুন শিখরে পৌঁছেছে।
ঘটনার সারসংক্ষেপ:
- ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম এবং অঞ্চলজুড়ে প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা “ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি।” এই অভিযানের লক্ষ্য সেই হুমকি দূর করা।
- এই অভিযান কতদিন চলবে তা এখনো অনির্দিষ্ট—নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, “যতদিন না ইরানি হুমকি সরানো যায়।”
- যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজে বর্তমানে এক ধরনের অস্বচ্ছতা বিরাজ করছে—”travel/photo lid” ঘোষণা করা হয়েছে, যার অর্থ প্রেসিডেন্ট জনসম্মুখে আর আসবেন না আজ রাতের জন্য।
- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (উল্লেখ অনুযায়ী সম্ভবত fictional context বা hypothetical পরিস্থিতি) এখনও প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেননি, তবে তিনি Truth Social-এ পোস্ট করতে পারেন।
- পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এর আগেই ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের বিপদ সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন—বলেছিলেন, “ইরান এখন এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে যা আগে কখনো নেয়নি। এটা থামানো না গেলে তারা দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হবে।”
বিশ্লেষণ:
এই হামলা কেবল একটি সামরিক পদক্ষেপ নয়, বরং এটি একটি ভূরাজনৈতিক বার্তা। ইসরায়েল সরাসরি বলছে, তারা এখন আর কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় নেই, বরং নিজেদের সুরক্ষার জন্য আগাম হামলা করতেও প্রস্তুত। এই নীতি, যাকে অনেকেই “preemptive defense doctrine” বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতাকে আরও বিপন্ন করতে পারে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে:
- ইরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে? সরাসরি প্রতিশোধ, প্রক্সি মিলিশিয়াদের ব্যবহার, বা সাইবার হামলা—সবই সম্ভব।
- যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিতে কী ভূমিকা নেবে? প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার অভাব উদ্বেগের সৃষ্টি করছে।
- আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব কেমন হবে? তেল বাজার, আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং জাতিসংঘের ভূমিকা—সব কিছুই এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে।