মার্চ ২০২৫-এ, ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। এই পরিকল্পনা সমন্বয়ের জন্য তারা সিগন্যাল অ্যাপে “Houthi small group” নামের একটি গ্রুপ চ্যাট তৈরি করেন। ভুলবশত, এই গ্রুপে দ্য আটলান্টিকের সম্পাদক-ইন-চিফ জেফরি গোল্ডবার্গকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা একটি গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়।

এই গ্রুপ চ্যাটে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা হামলার সময়সূচি, ব্যবহৃত অস্ত্রের ধরন এবং লক্ষ্যবস্তুর বিবরণ নিয়ে আলোচনা করেন।এই তথ্যগুলি ভুলক্রমে গোল্ডবার্গের কাছে পৌঁছে যায়, যা তিনি প্রকাশ করেন।
এই ঘটনার পর, প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করেন যে কোনো সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হয়নি। তবে, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এই দাবির সাথে একমত নন এবং বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সিনেট সশস্ত্র বাহিনী কমিটি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এই ভুলের ফলে, ট্রাম্প প্রশাসনের নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং সংবেদনশীল তথ্যের পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনা প্রশাসনের গোপনীয়তা রক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাগুলি প্রকাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি গ্রুপ চ্যাট থেকে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের ওপর হামলার গোপন পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে। এই গ্রুপ চ্যাটে ভুলবশত একজন সাংবাদিককে যুক্ত করার ফলে এই তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিগন্যাল অ্যাপে ‘হুথি পিসি স্মল গ্রুপ’ নামের একটি গ্রুপ চ্যাটে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা ইয়েমেনে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। ভুলক্রমে, দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনের সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গকে এই গ্রুপে যুক্ত করা হয়। গোল্ডবার্গ প্রথমে গ্রুপটিকে ভুয়া মনে করলেও, পরে হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য দেখে এর সত্যতা বুঝতে পারেন।
এই গ্রুপ চ্যাটে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ এবং জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন। হেগসেথ গ্রুপে লিখেছিলেন, “THIS IS WHEN THE FIRST BOMBS WILL DEFINITELY DROP” (এখনই প্রথম বোমা নিঃসন্দেহে পড়বে)।
এই ঘটনা সম্পর্কে প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বলেন, “কেউ যুদ্ধ পরিকল্পনা পাঠাচ্ছিল না এবং এ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই”
এই তথ্য ফাঁসের ফলে ট্রাম্প প্রশাসন কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও সামরিক পরিকল্পনা নিয়ে তাদের গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।















