যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে তারা কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকে আসা ৫ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীর অস্থায়ী বৈধতা বাতিল করতে চলেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই অভিবাসীদের থাকার অনুমতি ও বহিষ্কার সুরক্ষা আগামী ২৪শে এপ্রিলের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে, এবং তাদের দেশ ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন ফেডারেল সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এই অভিবাসীরা সিএইচএনভি নামে একটি প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন, যা বাইডেন প্রশাসনের সময় চালু হয়েছিল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা দুই বছরের জন্য অস্থায়ী অভিবাসন মর্যাদা বা প্যারোল পেয়েছিলেন।
প্রথমে এটি শুধু ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের জন্য চালু হলেও পরে অন্যান্য দেশের অভিবাসীরাও এর আওতাভুক্ত হন। বাইডেন প্রশাসনের মতে, এই প্রোগ্রাম অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা যাচাইয়ে সহায়ক ছিল।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে, এই কর্মসূচি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে যে, এটি অভিবাসীদের আমেরিকান চাকরির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিয়েছে এবং দেশটির শ্রম বাজারকে প্রভাবিত করেছে।
ফেডারেল রেজিস্টারের ৩৫ পৃষ্ঠার এক নোটিশে বলা হয়েছে, কিছু অভিবাসী বিশেষ বিবেচনার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি পেতে পারেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার ইউক্রেনীয় নাগরিকের অস্থায়ী বৈধতা বাতিলের বিষয়েও ট্রাম্প প্রশাসন পর্যালোচনা করছে।
এই কর্মসূচির আওতায় হাইতি থেকে ২ লাখ ১৩ হাজার, ভেনেজুয়েলা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ৭০০, কিউবা থেকে ১ লাখ ১০ হাজার ৯০০ এবং নিকারাগুয়া থেকে ৯৩ হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক অভিবাসন সংক্রান্ত কর্মসূচি বাতিল করেছেন, যদিও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
সূত্র : বিবিসি