যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও তার স্ত্রী উষা ভ্যান্স শুক্রবার গ্রিনল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকির পর আলোচিত একটি পদক্ষেপ।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা পিটুফিক স্পেস বেস পরিদর্শন করে আর্কটিক নিরাপত্তা বিষয়ে ব্রিফিং নেবেন এবং সেখানে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর সদস্যদের সাথে দেখা করবেন। উষা ভ্যান্স মূলত সাংস্কৃতিক সফরের জন্য যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তবে পরে তার স্বামীও যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গ্রিনল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই সফরকে অসম্মানজনক বলে সমালোচনা করেছেন। গ্রিনল্যান্ড, বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ, ৩০০ বছর ধরে ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তাদের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি কোপেনহেগেন থেকে নির্ধারিত হয়।
ভ্যান্স এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “অনেক দেশ গ্রিনল্যান্ডের ভূখণ্ড ও জলপথ ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং গ্রিনল্যান্ডের জনগণকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করছে।” ট্রাম্প প্রশাসন দ্বীপটির নিরাপত্তা পুনরুজ্জীবিত করতে চায় বলে জানান তিনি।
পোলার রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইনিশিয়েটিভের পরিচালক ডোয়েন রায়ান মেনেজেস বলেছেন, “নতুন সরকার গঠনের আলোচনা চলাকালীন গ্রিনল্যান্ডে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমন অস্বাভাবিক এবং আগ্রাসী পদক্ষেপ।”
সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৮০% গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দা ডেনমার্ক থেকে স্বাধীনতার পক্ষে, তবে তাদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চান না।