ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাতের “সত্যিকারের অবসান” চান বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, তিনি এমন একটি শেষ চান, যা শুধু অস্ত্রবিরতিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো সংঘাতের নিরবচ্ছিন্ন সমাপ্তি নিশ্চিত করবে।
সোমবার (স্থানীয় সময়) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “একটা শেষ। সত্যিকারের শেষ। কোনো যুদ্ধবিরতি নয়। একদম শেষ করে দেওয়া। কিংবা পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়া—তাও ঠিক।”
সূত্র: আল জাজিরা ও বিবিসি।
তিনি জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বোঝা যাবে ইসরায়েল হামলার গতি কমাবে, নাকি আরও বাড়াবে। “আপনারা দেখতে পাবেন। এখন পর্যন্ত কেউ থামেনি,” বলেন ট্রাম্প।
এদিকে, মঙ্গলবার ‘সিচুয়েশন রুমে’ জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিকভাবে এই সংঘাতে জড়ায়, তাহলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস নিশ্চিত হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি আশা করি তার আগেই তাদের কর্মসূচি ধ্বংস হয়ে যাবে। ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অধিকারী হতে দেওয়া হবে না।”
তেহরান থেকে মার্কিন নাগরিকদের সরানোর আহ্বান সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি কোনো নির্দিষ্ট হুমকির কারণে নয়, বরং সাধারণ নিরাপত্তার বিষয়। “আমি শুধু চাই মানুষ নিরাপদে থাকুক… যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। তাই নিরাপদ থাকাই ভালো।”
মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সেনা বা সম্পদ নিয়ে উদ্বেগ আছে কি না—এমন প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যদি ইরান আমাদের সেনাদের স্পর্শ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এত জোরে পাল্টা জবাব দেবে যে… আমি মনে করি ওরা জানে, আমাদের সেনাদের স্পর্শ করা যাবে না।”
ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও স্টিভ উইটকফকে ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনায় পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “হতে পারে। হতে পারে। আমি দেশে ফিরে কী অবস্থা পাই, তার ওপর নির্ভর করছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা আরও একধাপ রাজনৈতিক গুরুত্ব পেল বলে ধারণা করা হচ্ছে।