ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে এবার সরব হলো মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ অক্ষ। ইয়েমেনের শীর্ষ ইসলামপন্থী সংগঠন আনসারুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল-বাখিতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানকে পূর্ণ সমর্থন দেবে ইয়েমেন.
He said,
“আমরা যেভাবে গাজা উপত্যকার পাশে দাঁড়িয়েছি, ঠিক সেভাবেই এবার ইরানের পাশে দাঁড়াবো। দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে আমরা কণ্ঠ মিলিয়েছি।”
ইয়েমেনের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাহদী আল-মাশাত আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেছে,
“ইরানের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনে অংশ না নেওয়ার জন্য অন্যান্য দেশগুলোকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।”
এদিকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার পরিণতির পূর্ণ দায়ভার ইসরায়েল ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকেই নিতে হবে.
উল্লেখ্য, ১৩ জুন রাতে ইসরায়েল কোনও উসকানি ছাড়াই ইরানের অভ্যন্তরে বসতবাড়িসহ একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়, যাতে নিহত হন ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা ও বেসামরিক নাগরিকরা।
জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ‘নরকের দরজা’ খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে শাস্তিমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে তারা তেল আবিব, হাইফা সহ বিভিন্ন ইসরায়েলি শহরে বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ প্রসঙ্গে ইরাকের ফাতহ জোটের সদস্য আলী হুসেইন Said,
“ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের মদদ প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কাছে আর সহ্যযোগ্য নয়। আমরা চুপ থাকবো না।”
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানও জানিয়ে দিয়েছে,
“যতদিন প্রয়োজন, ততদিন আমাদের প্রতিশোধমূলক অভিযান চলবে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, একাধিক দেশের এই প্রতিরোধ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে একটি বৃহৎ সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতির চিত্রও পাল্টে দিতে পারে।