জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতার মধ্যে এই তিন দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) টোকিওতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়া, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো তাই-ইউল বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন।
এটি ২০২৩ সালের পর তিন দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক মিত্রতার নীতিতে পরিবর্তন আনছেন, যা চীনের জন্য ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়া বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে এবং এটি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মোড়। এই প্রেক্ষাপটে সংলাপ ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিভাজন দূর করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, এ বছর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী। “ইতিহাসের প্রতি আন্তরিক প্রতিফলন ঘটিয়ে আমরা ভবিষ্যৎকে আরও ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারি।”
ওয়াং আরও বলেন, তিন দেশের সম্মিলিত জনসংখ্যা প্রায় ১.৬ বিলিয়ন এবং তাদের সম্মিলিত অর্থনৈতিক উৎপাদন ২৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। তিনি আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু এবং ১৫ জাতির আঞ্চলিক সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব (RCEP) সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।