যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের উদ্যোগে ইউক্রেনকে সহায়তা করতে একটি “ইচ্ছুকদের জোট” গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ২০টি দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা। তবে সব দেশ সরাসরি সৈন্য পাঠাবে না, কেউ কেউ ভিন্ন উপায়ে সমর্থন প্রদান করবে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার সম্প্রতি ইউরোপ ও কানাডার ১৮ জন নেতার সাথে এক সম্মেলনে এই পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেন। জোটটি ইউক্রেন ও রাশিয়ার যেকোনো যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এই পদক্ষেপকে “নাটোর সরাসরি ও প্রকাশ্য অংশগ্রহণ” বলে উল্লেখ করে বলেছেন, এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের জন্য £১.৬ বিলিয়ন মূল্যের মিসাইল সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে এবং সম্প্রতি আরও উন্নতমানের ড্রোন সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যান্ডুরিলের সাথে নতুন চুক্তি করেছে, যার মূল্য প্রায় £৩০ মিলিয়ন।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন ইউরোপের প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য একটি €৮০০ বিলিয়ন প্যাকেজ প্রস্তাব করেছেন। তিনি বলেছেন, “ইউরোপ এখন বড় ধরনের হুমকির মুখে রয়েছে এবং আমাদের নিজেদের সুরক্ষিত রাখার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।”
তুরস্ক শান্তিরক্ষা বাহিনীতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে, এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজও ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক মতামত প্রকাশ করেছেন।
রাশিয়া ইউক্রেনে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, “কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা ছাড়া অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি গ্রহণযোগ্য নয়।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে, যা কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টার অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।
🔥 সর্বশেষ আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন!