আরব দেশগুলোর স্পষ্ট বার্তা: গাজা ফাঁকা করার পরিকল্পনা গ্রহণযোগ্য নয়ট্রাম্পের ‘মিডল ইস্ট রিভিয়েরা’ ভাবনা: গাজা পুনর্গঠনের আড়ালে বিতর্কিত রূপান্তরজাতিসংঘ সতর্ক: ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি যুদ্ধাপরাধ হতে পারেযুক্তরাষ্ট্র বলছে ‘সাময়িক’, কিন্তু আশঙ্কা স্থায়ী পুনর্বাসনেরফিলিস্তিনি নেতাদের প্রতিক্রিয়া: গাজা ছাড়া কোনো ভবিষ্যৎ কল্পনাই অসম্ভবগাজা সংকটের সমাধানে ‘মানবিক করিডোর’ নাকি নতুন সংকটের সূত্রপাত?
নতুন একটি বিতর্কিত বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের “ছাড়ার সুযোগ থাকা উচিত” এবং যারা যেতে চান, তাদের জন্য “বিকল্প থাকা উচিত”। তিনি বলেন:
“যদি কেউ থাকতে চায়, থাকতে পারে। তবে কেউ যেতে চাইলে, যেতে দেবে—গাজা যেন একটা কারাগার না হয়, বরং একটি উন্মুক্ত জায়গা হওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হচ্ছে এমন দেশ খুঁজে বের করার জন্য যারা ফিলিস্তিনিদের “ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু দিতে চায়”।
এ সময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এক মন্তব্যে বলেন:
“ইসরায়েলের আশপাশের অনেক দেশের সঙ্গে ভালো সহযোগিতা হয়েছে… ভালো কিছু ঘটবে।”

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেতানিয়াহু যখন হোয়াইট হাউস সফর করেন, তখন ট্রাম্প বলেছিলেন:
“আমরা গাজা দখলে নেব, এবং এটিকে আমাদের করব… ফিলিস্তিনিরা অন্য দেশে চলে যাবে।”
কী পরিকল্পনা হচ্ছে?
Humanitarian Transit Areas (HTA):
- গাজার ভিতরে এবং বাইরের (যেমন মিশর, সাইপ্রাস) বিশেষ অঞ্চল যেখানে ফিলিস্তিনিরা সাময়িকভাবে বসবাস করতে পারবে।
- ধারণা করা হচ্ছে, এখানে লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে।
রাফাহ শরণার্থী ক্যাম্প:
- ইসরায়েল পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপের ওপর ৬ লাখ মানুষের জন্য একটি বিশাল শরণার্থী ক্যাম্প তৈরি করতে।
বিতর্ক ও প্রতিক্রিয়া
- জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা, এবং অনেক দেশ এটিকে জবরদস্তিমূলক স্থানান্তর (forced displacement) বলে মনে করছে।
- মিশর, জর্ডান, সৌদি আরব, তুরস্কসহ অনেক দেশ ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পাঠানোর এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করছে।
- মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এটি “সাময়িক পুনর্বাসনের জন্য” — তবে অনেকেই মনে করছেন এটি স্থায়ীভাবে গাজা খালি করার চেষ্টা।
পরিকল্পনা | বিবরণ |
---|---|
HTA | গাজা ও আশপাশে সাময়িক বসবাসের এলাকা |
রাফাহ ক্যাম্প | ধ্বংসপ্রাপ্ত রাফাহ শহরে ৬ লাখ মানুষের জন্য নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকা |
International reaction | আরব ও মুসলিম বিশ্ব, ইউরোপ সহ অনেক দেশ জোরালোভাবে বিরোধিতা করছে |
এই পুরো পরিকল্পনা আন্তর্জাতিকভাবে খুবই বিতর্কিত এবং অনেকেই এটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।
চাইলে আমি আরও বিস্তারিত রিপোর্টের বাংলা অনুবাদ করে দিতে পারি বা বিশেষ কোনো অংশ ব্যাখ্যা করতে পারি।