Sylhet Bureau:
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। বিশেষ করে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, গোয়াইন ও ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যদিও এখনও কোনো নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি, তবে সারি ও ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেটেও টানা বৃষ্টিতে জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি দ্রুত বাড়ছে।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত কোনো এলাকা বড় পরিসরে প্লাবিত হয়নি বা কেউ পানিবন্দি অবস্থায় নেই। তবে পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, বিছনাকান্দি ও সাদাপাথর পানিতে প্লাবিত হওয়ায় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রশাসনের প্রস্তুতি:
গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা জানান, কয়েকটি নিচু সড়ক প্লাবিত হলেও পুরো এলাকা এখনও বিপদমুক্ত। ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং শুকনা খাবারের পর্যাপ্ত মজুত রাখা হয়েছে।
বৃষ্টিপাতের পরিসংখ্যান:
সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সকালে ১২টার মধ্যে আরও ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
জলাবদ্ধতা নিরসনে কন্ট্রোল রুম:
সিলেট সিটি করপোরেশন নগরীর জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। নগর ভবনের দ্বিতীয় তলার ২০৫ নম্বর কক্ষে এ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। দায়িত্বে আছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর (মোবাইল: ০১৭১১৯০৬৬৪৭)।
সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রধানের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সচিবদের এলাকায় থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।