রাজশাহী প্রতিনিধি :
“বাংলাদেশ কারো দয়া চায় না, চায় ন্যায্য হিস্যা”— ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৯তম বর্ষপূর্তিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
“ফারাক্কা বাঁধের কারণে প্রায় চার কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারত আমাদের নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ রোধ করে জলজ প্রাণী, কৃষি ও মানুষের জীবনে দুর্ভোগ ডেকে এনেছে।”
তিনি আরও বলেন, গড়াই ও নবগঙ্গা নদীর পানি কমে যাওয়ায় মাছের প্রজাতি হারিয়ে যাচ্ছে, জেলেরা পেশা হারাচ্ছেন এবং কৃষি খাতও হুমকিতে পড়েছে।
“পদ্মার ইলিশ এখন প্রায় বিলুপ্ত, যা ছিল আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ। গঙ্গার পানিতে আমাদের ন্যায্য অধিকার আছে—এটা কোনো দয়ার বিষয় নয়, বরং প্রাকৃতিক ও জন্মগত অধিকার।”
উপদেষ্টা আরও বলেন,
“ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য কারবালার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সক্রিয় রয়েছে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নাকিব, পিআইবি মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর যহর আলীসহ অনেকে।
ফারাক্কা বাঁধের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরতে ও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে গণজাগরণ গড়ে তুলতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় এই অনুষ্ঠানে।