আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের বিমান ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় সশস্ত্র প্রতিক্রিয়ার অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান। বুধবার ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (NSC) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য যথাযথভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
‘সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ এবং যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে দেখছে পাকিস্তান
জিও টিভির খবরে বলা হয়, বৈঠকে ভারতের হামলাকে ‘অপ্রীতিকর যুদ্ধের কর্মকাণ্ড’ এবং ‘পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রকাশ্য লঙ্ঘন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। একইসঙ্গে জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের কথাও জানানো হয়।
পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি
পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, আক্রমণকারী পাঁচটি ভারতীয় বিমান এবং একটি যুদ্ধ ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৫৭ বিমান। এই সাফল্যের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে প্রশংসা করেছে NSC।
বেসামরিক হতাহতের অভিযোগ
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের বিমান হামলায় পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীর অঞ্চলে মসজিদ, আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে নারী, শিশু ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান একে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান
আঞ্চলিক উত্তেজনার জন্য ভারতকে দায়ী করে পাকিস্তান জানিয়েছে, বিশ্ব সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে ভারতের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে।
এদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে ‘অপ্রস্তুতিহীন ও আগ্রাসী হামলার’ তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।