ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেল থেকে যখন সাদা ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়, তখন সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ আনন্দে উল্লাসে ফেটে পড়ে। কারণ, এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতীকী ঘটনা—এটি বোঝায় যে ক্যাথলিক চার্চ একটি নতুন পোপ পেয়েছে।
নতুন পোপ নির্বাচন একটি গোপন ও অত্যন্ত প্রথাগত প্রক্রিয়া, যেটিকে কনক্লেভ (Conclave) বলা হয়। এই নির্বাচনী সভায় বিশ্বজুড়ে নির্বাচিত কার্ডিনালরা অংশগ্রহণ করেন। তারা ভ্যাটিকানে গোপনে একত্রিত হন এবং পরপর ভোটের মাধ্যমে একজনকে নির্বাচন করেন যিনি পোপের গুরুদায়িত্ব পালন করবেন। ভোট গণনার পর যদি একজন প্রার্থী দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান, তবে তাকে নতুন পোপ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সাদা ধোঁয়া আসলে সিস্টিন চ্যাপেলের চিমনি দিয়ে নির্গত হয়, যখন ভোটপত্রগুলো পোড়ানো হয় এবং সেখানে কোনো রাসায়নিক উপাদান মেশানো হয় যাতে ধোঁয়ার রং হয় সাদা—এই ধোঁয়া হলো নতুন পোপ নির্বাচনের প্রতীক। এর ঠিক পরেই সেন্ট পিটার্স বাসিলিকার বিশাল ঘণ্টাগুলো বেজে ওঠে, যা নিশ্চিত করে যে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
এরপর কিছু সময়ের মধ্যে ভ্যাটিকানের সেই ঐতিহাসিক বারান্দা — St. Peter’s Basilica-এর কেন্দ্রস্থল থেকে একজন কার্ডিনাল জনসাধারণকে জানান:
“Habemus Papam” — যার বাংলা অর্থ, “আমরা একজন পোপ পেয়েছি”.
এই ঘোষণার পর নতুন নির্বাচিত পোপ সেই বারান্দায় উপস্থিত হন এবং গোটা বিশ্বের সামনে প্রথমবারের মতো আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি সাধারণত কিছু কথা বলেন এবং জনগণকে আশীর্বাদ প্রদান করেন।
এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত শুধুমাত্র ক্যাথলিকদের জন্য নয়, বিশ্ববাসীর জন্যই এক গভীর আগ্রহ ও গুরুত্বের বিষয়, কারণ পোপ শুধুমাত্র ধর্মীয় নেতা নন—তিনি শান্তি, মানবতা এবং নৈতিকতার এক বিশ্বজনীন প্রতীক।