আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত ১৩ জুন উত্তেজনা বৃদ্ধির পর থেকে ইরানের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ইসরায়েলি নিরাপত্তা পরিষেবার সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য ৭০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করেছেন।
ফার্স সংবাদ সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ আটকের ঘটনা ঘটেছে কেরমানশাহ, ইসফাহান, খুজেস্তান, ফারস এবং লোরেস্তান প্রদেশে।
সংবাদ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের স্বার্থে ছোট ড্রোন চালানো, ছোট বোমা তৈরি করা এবং ইসরায়েলি বিশেষ পরিষেবাগুলোতে তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে সামরিক স্থাপনাগুলোর ভিডিও করার অভিযোগ রয়েছে।
ফার্স উল্লেখ করেছে, ১৩ জুন থেকে শুধুমাত্র তেহরানের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা ১০ হাজারের বেশি ছোট ড্রোন জব্দ করেছেন।
১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন অভিযান শুরু করে। ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ইরান প্রতিশোধ নেয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে ইসরায়েলি হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ইরান।
২২ জুন ভোরে মার্কিন বোমারু বিমানগুলো তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় আক্রমণ করে। পরের দিন সন্ধ্যায় তেহরান কাতারে অবস্থিত এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক বিমান ঘাঁটি আল উদেইদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
এরপর ২৪ জুন ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল এবং ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েলি ঘোষণা করে, তারা মার্কিন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
পরিবর্তে তেহরান জানায়, তারা তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করে বিজয় অর্জন করেছে। ২৪ জুন থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।