পাকিস্তান শনিবার রাতে ট্রাম্পকে “নোবেল শান্তি পুরস্কৃত” করার প্রস্তাব দেয়াও কম ছিল না। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকার ইরানে বিমান হামলার কঠোর নিন্দা করেছে দেশটি, একে “আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন” হিসেবে অভিহিত করে ।
• জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক
সোমবার ইরানে হামলার জের ধরেই প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির উন্মুক্ত বৈঠক ডেকেছেন। এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক গুরুত্ববাহী বিষয় বলে দেখা হচ্ছে ।
• প্রতিক্রিয়ার বহুমাত্রিকতা
সংবাদ সংস্থাগুলি বিশ্লেষণ করেছে, পাকিস্তানের এই অবস্থান দ্বৈত মনোভাবের প্রতিফলন: একদিকে মার্কিন জোটের সহায়তা চেয়ে সিন্ধান্ত গ্রহণ, অন্যদিকে মুসলিম বিশ্ব ও ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ ।
• অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উত্তেজনা
ট্রাম্পকে নোবেল সম্মানে মনোনয়ন দেওয়ার পরে পাকিস্তানে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে, বিশেষ করে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজে । এ নিয়ে সরকার প্রচণ্ড চাপের মুখে আছেই।
• নিরাপত্তা উদ্বেগ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা
রয়টার্স বলছে, ইরান দুর্বল হলে পাকিস্তান–ইরান সীমান্তে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা বাড়ছে; এবং এই শঙ্কা প্রধানমন্ত্রী ও সেনা নেতৃত্বের এক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় ছিল ।
🔍 বিশ্লেষণ:
- পাকিস্তান এত দিনে মনোভাব দুই জোটে ভাগিয়ে নিয়েছে — যুক্তরাষ্ট্রের “সহযোগিতা” ও মুসলিম বিশ্বের “ভ্রাতৃত্ব”।
- রাজনৈতিকভাবে নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া বাড়লেও, সরকার আশাবাদী বৈশ্বিক সমঝোতার দিকে দৃষ্টি রেখে চলতি থাকা নেয়।
- নিরাপত্তা ও সীমান্ত সংযোগের বিবেচনাও পাকিস্তানকে দ্বিগুণ চিন্তায় ফেলছে—ইরানে বাজার বন্ধ বা জঙ্গি সংঘাতে জড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।