২০২৫ সালের ১৮ জুন, হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়—যুক্তরাষ্ট্র কি ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাবে কি না। ট্রাম্প এর সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, “আমি করতে পারি, আবার নাও করতে পারি। কেউ জানে না আমি কী করব। ইরানের সমস্যা অনেক, আর তারা আলোচনায় বসতে চায়।”
ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া:
“আপনারা জানেন না আমি সেটা করবো কিনা। আমি করতে পারি, আবার নাও করতে পারি,” — বলেন ট্রাম্প।
“ইরানের সমস্যা অনেক, এবং তারা আলোচনায় আসতে চায়।”
পরে, হোয়াইট হাউসে জুভেন্টাস ফুটবল দলের সদস্যদের সঙ্গে ছবি তোলার সময় ট্রাম্প জানান:
“আমার কিছু পরিকল্পনা আছে, তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেই। আমি সাধারণত সিদ্ধান্ত নিই শেষ মুহূর্তে, কারণ যুদ্ধের পরিস্থিতি দ্রুত বদলায়।”
পরবর্তীতে, হোয়াইট হাউসে জুভেন্টাস ফুটবল দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সময় ট্রাম্প আবারো জানান, তিনি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তার ভাষায়, “আমি শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি। কারণ যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলাতে সময় লাগে না—এক চরম থেকে আরেক চরমে চলে যেতে পারে।”
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
ট্রাম্পের এধরনের অস্পষ্ট অবস্থান কেবল আন্তর্জাতিক অঙ্গনেই নয়, দেশের ভেতরেও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
- কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—উভয় দলের কিছু সদস্য এমন প্রস্তাবনা দিচ্ছেন, যাতে প্রেসিডেন্ট এককভাবে যুদ্ধ শুরু করতে না পারেন।
- একইসঙ্গে, রক্ষণশীল উপস্থাপক টাকার কার্লসন ও সেনেটর টেড ক্রুজ–এর মধ্যে ইরানে ‘শাসন পরিবর্তনের’ সম্ভাবনা নিয়ে খোলামেলা বিতর্ক হয়েছে।
এই ধরনের অস্পষ্ট বার্তা কেবল মধ্যপ্রাচ্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও উত্তেজনা তৈরি করেছে। কিছু রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা এমন একটি আইন প্রস্তাব করেছেন, যাতে প্রেসিডেন্ট এককভাবে যুদ্ধ শুরু করতে না পারেন।
এদিকে, টাকার কার্লসন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন যেখানে তিনি ও রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ ইরানে সরকার পতনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিতর্ক করেন। ক্রুজ যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের পক্ষে মত দেন, কিন্তু কার্লসন দ্বিমত পোষণ করেন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে, যদি প্রেসিডেন্ট হস্তক্ষেপের নির্দেশ দেন।