📍 স্থান: জেনেভা
📅 Date: ২০ জুন ২০২৫
✍️ নিজস্ব প্রতিবেদনে অনূদিত
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি আজ জেনেভায় ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়ে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক আক্রমণকে “বর্বর ও সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত আগ্রাসন” বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল ১৩ জুন শুক্রবার ভোরে ইরানের বিভিন্ন স্থানে একযোগে হামলা চালায়, যা জাতিসংঘ সনদের ২ নম্বর অনুচ্ছেদের ৪নং ধারার সরাসরি লঙ্ঘন।
তিনি জানান, এই হামলায় ইরানের সাধারণ জনগণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ছুটিতে থাকা সামরিক কর্মী এবং বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবন এবং এমনকি পারমাণবিক স্থাপনাও।
আরাকচি ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, “পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা কেবল ইরানের নিরাপত্তা নয়, গোটা অঞ্চলের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। তেজস্ক্রিয় পদার্থের সম্ভাব্য লিকেজ ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, এই ‘অন্যায্য যুদ্ধ’ ইরানের জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ইরান কেবল আত্মরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তিনি জাতিসংঘ সনদের ৫১ নম্বর ধারার উল্লেখ করে বলেন, “আত্মরক্ষা আমাদের সার্বভৌম অধিকার, এবং আন্তর্জাতিক আইন আমাদের সেই অধিকার নিশ্চিত করে।”
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইরান যুদ্ধ চায় না, তবে প্রতিটি আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দেবে। তিনি বলেন, ইরান পারমাণবিক শক্তিকে শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে এবং এই হামলা সেই প্রযুক্তিকে থামাতে পারবে না।
বৈঠকে তিনি ইঙ্গিত দেন যে, ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অসম্ভব যতক্ষণ না ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হয়।
বৈঠকের পর ইউরোপীয় কর্মকর্তারা বলেন, তারা একটি ছোট কূটনৈতিক জানালার সুযোগ দেখছেন যার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা হ্রাস ও যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।

