দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছেই। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১১ হাজার, মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে চীন সরকার বাংলাদেশকে দিয়েছে ১৯ হাজার ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট। শুধু ডেঙ্গু নয়, এই কিট দিয়ে চিকুনগুনিয়াও শনাক্ত করা যাবে।
বুধবার (৩ জুলাই) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব কিট হস্তান্তর করে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের হাতে কিটগুলো তুলে দেন চীনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. লিউ ইউইন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে চীন এই সহায়তা দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও যেকোনো সংকটে পাশে থাকবে। তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্যখাতসহ অন্যান্য খাতেও বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে কাজ করছে চীন। চীনের কারিগরি সহযোগিতা ও গবেষণা সক্ষমতা ভবিষ্যতের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, শুধু কিট নয়, চীনের কাছ থেকে গবেষণা ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। তাদের উন্নত কারিগরি ডিভাইসের মাধ্যমে দ্রুত ও নির্ভুল রোগ নির্ণয় সম্ভব, যা বাংলাদেশের জন্য বড় সহায়তা হতে পারে।
চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। এরই মধ্যে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। যেসব এলাকায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি, সেগুলো রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া তিনি সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান, যাতে ডেঙ্গু ছড়ানোর আগেই প্রতিরোধ করা যায়।
ডেঙ্গুর এই সংকটে চীনের সহায়তা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।