২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব বলে অভিহিত করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশের প্রতিকূল অর্থনৈতিক বাস্তবতা সত্ত্বেও একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশীয় সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে, রাজস্ব আহরণ বাড়ানো গেলে এবং পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলে বাজেট ঘাটতি পূরণে বিদেশি দাতা সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন হতো না। তিনি বলেন, “অর্থ পাচার বন্ধ এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সময়সাপেক্ষ হলেও তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি এই অর্থ ফেরত আনা যেত, তাহলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে সাহায্যের প্রয়োজন পড়ত না।”
এর আগে সোমবার (২ জুন) তিনি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। এটি দেশের ৫৪তম এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে প্রস্তাবিত প্রথম বাজেট। একইসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদেরও এটি প্রথম বাজেট উপস্থাপন। প্রস্তাবিত বাজেটটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার নজির গড়ল।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বাজেট প্রণয়ন করেছি। জনস্বার্থ, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকগুলো মাথায় রেখেই এই বাজেট সাজানো হয়েছে।” বিশ্লেষকদের মতে, বাজেটের আকার কমানো হলেও এটি বাস্তবভিত্তিক এবং অর্থনীতির চাপ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর প্রতি জোর দিয়েছে।