শ্রীলঙ্কার জন্য ৩৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পঞ্চম কিস্তি ছাড়ে প্রাথমিকভাবে সম্মতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। দেশটির অর্থনৈতিক সংস্কারে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে আইএমএফ কর্মী পর্যায়ে এই চুক্তি করেছে। এখন আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
২০২২ সালে ভয়াবহ আর্থিক সংকটের পর শ্রীলঙ্কা ২০২৩ সালের মার্চে আইএমএফের সঙ্গে ঋণচুক্তি করে। এরপর চার কিস্তির অর্থ তারা পেয়েছে এবং পঞ্চম কিস্তির জন্য প্রাথমিক সব শর্ত পূরণ করেছে। রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালীকরণ এবং কাঠামোগত সংস্কারে ধারাবাহিকতা বজায় রাখায় আইএমএফ ইতিবাচক মূল্যায়ন দিয়েছে।
তবে বিশ্ববাণিজ্যে অনিশ্চয়তা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নীতির কারণে, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে আছে বলে সতর্ক করেছে আইএমএফ। পোশাক রপ্তানির ওপর ৪৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত পরে সাময়িকভাবে স্থগিত হলেও ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে দরিদ্র জনগণের জন্য সহায়তা কার্যক্রম আরও জোরদারের কথা বলেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩১ কোটি ডলার। তবে চতুর্থ কিস্তির অর্থ, যা গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়ার কথা ছিল, এখনও আসেনি। ঢাকায় আইএমএফের সাম্প্রতিক সফর শেষে জানানো হয়েছে, আলোচনা চলছে এবং সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনের শেষ নাগাদ চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে ছাড় হতে পারে।
তবে বাংলাদেশের জন্য পথটি সহজ নয়। অর্থনৈতিক সূচক, রাজস্ব আদায়ের অগ্রগতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে আগামী কিস্তির ভাগ্য। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের শর্ত পূরণ করাটা চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।