স্টাফ রিপোর্টার :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কেন্দ্রিক আন্দোলন শুরুর দিকে নিরপেক্ষ থাকলেও পরে তা সরকারবিরোধী রূপ নিয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি একটি নিরীহ আন্দোলন কিভাবে সরকারের বিরুদ্ধে একটি সংগঠিত আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করা।”
রোববার সচিবালয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শিল্প, বন্দর ও রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অধিকতর গতিশীল করতে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, “গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ দিতে গিয়ে আমরা কঠোর অবস্থান নেইনি। কিন্তু অনেক ব্যবসায়ী প্রশ্ন তুলেছেন—এই আন্দোলন ১৫ দিনের মাথায় থামানো হলো না কেন?”
তিনি দাবি করেন, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারবিরোধী বার্তা ছড়িয়ে আন্দোলনকে অন্য খাতে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।
“আপনারা গণমাধ্যমের রিপোর্টও দেখেছেন। আন্দোলনের নামে তারা একপর্যায়ে রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করেছে,”—বলেন তিনি।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আরও জানান, এনবিআর কাঠামোতে পরিবর্তন আসছে। তিনি বলেন,
“এনবিআরে কেউ চাকরি করে শুনলে এখন মানুষ হাসে। এই প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান অবস্থান নিয়ে মানুষের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। এনবিআর না থাকাটা সবার জন্য ভালো।”
তিনি আরও বলেন, দুটি নতুন ডিভিশনের বিষয়ে আলোচনা চলছে। এই কাঠামোতে প্রশাসন ক্যাডারের একচেটিয়া কর্তৃত্বও আর চলবে না বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।নবগঠিত রাজস্ব বিভাগ নিয়ে চলমান দাবি-দাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “শুধুমাত্র দুটি ক্যাডারের সদস্য নিয়ে রাজস্ব বিধি বা বিভাগ গঠন করা যাবে না—এই দাবিগুলো অপ্রাসঙ্গিক ও গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি জানান, পরামর্শক কমিটি হিসেবে অধ্যাদেশে বিদ্যমান ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে সরকারকে সুপারিশ দেওয়া হবে।