শেয়ারবাজারে চলমান টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন অসন্তুষ্ট বিনিয়োগকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), যার দায় তাঁরা দিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের ওপর। তাঁর অপসারণের দাবিতে তাঁরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন।
রোববার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনসহ কয়েকটি সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এই বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা কফিন মিছিল ও প্রতীকী গায়েবানা জানাজায় অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, বাজারের ক্রমাবনতির জন্য বিএসইসির নীতিগত ব্যর্থতা দায়ী। বিক্ষোভের একপর্যায়ে তাঁরা একটি কফিন নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড় ঘুরে শেষ হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে। সেখানে তারা রাস্তায় বসে অবরোধ করেন, ফলে সাময়িকভাবে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
বিকেল পৌনে ৪টায়, প্রতীকী কফিন সামনে রেখে পুঁজিবাজারের গায়েবানা জানাজা আদায় করেন আন্দোলনকারীরা।
সংগঠনের সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, “পুঁজিবাজার আজ বন্দী হয়ে আছে এক নব্য স্বৈরাচারের আয়নায়।” তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “যদি আপনারা এই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব ছেড়ে দিন।”
তিনি আরও বলেন, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিএসইসি চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে ৩৩ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেবে।” সেইসঙ্গে ঘোষণা দেওয়া হয়, দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।