পলাশ মন্ডল,সারিয়াকান্দি প্রতিনিধি:
বগুড়ার সারিয়াকান্দি পাইলটবালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বাহিরের দেয়ালে সামান্য কিছু অংশে ছিলো জুলাই আগস্টের গ্রাফিতি। আর বাকি অংশের পুরোটাতেই ছিল কোম্পানির বিজ্ঞাপন। জুলাই আগস্টের গাফিতি ও কোম্পানির বিজ্ঞাপনের উপর ময়লা ও পোস্টারে পুরো দেয়াল ঢেকে যায়। পরে ৩০ শে জুন নোংরা গ্রাফিতি গুলো সাদা চুন দিয়ে মুছে পূর্বের গ্রাফিতি সহ নতুন আঙ্গিকে জুলাই আগস্টের গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়। এই গ্রাফিতি মুছনের বিষয়ে উপজেলায় নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ কিছুই জানতো না। গ্রাফিতি অঙ্কনের কারিগর মঞ্জু মিয়া তা স্বীকার করেছেন। গ্রাফিতি অঙ্কনের কারিগর মঞ্জু মিয়া বলেন, এখানে ইউএনও স্যার ও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে আমি গ্রাফিতি মুছে ফেলি,পূর্বের গ্রাফিতি অঙ্কন সহ নতুন করে গ্রাফিতি অঙ্কন করার জন্য। আমি গ্রাফিতি মুছে ফেলার সময় বৈষম্য বিরোধী ও জামায়াতের কিছু নেতা বাঁধা প্রদান করে এবং আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন। আমি বারবার তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি যে আপনারা দেখেন আমি এখানে কোন গ্রাফিতি অঙ্কন করি। কোম্পানির বিজ্ঞাপন না জুলাই আগস্টের গ্রাফিতি। জুলাই আগস্টের পূর্বের গ্রাফিতি নোংরা হওয়ায় নতুন ভাবে রং করে অঙ্কন করার পরিকল্পনা করি। আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী জুলাই আগস্টের নতুন আঙ্গিকে গ্রাফিতি অঙ্কন করেছি। আমাকে সবাই ভুল বুঝেছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সাথে রেখে তাদের পরামর্শ অনুযায়ী নতুন আঙ্গিকে জুলাই আগস্টের গ্রাফিতি অঙ্কন করি। উভয়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও জানান, জুলাই আগস্টের গ্রাফিতি মুছে ফেলা বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটলেও গত ১৪ জুলাই দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালযয়ের গ্রাফিতি নিয়ে ইউএনও স্যারের বিরুদ্ধে লেখা এটি মিথ্যা ভিত্তিহীন মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করছি। কারণ ইউএনও স্যার ও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এর সাথে জড়িত ছিলো না। দৈনিক যায়যায় দিনের উপজেলা প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই প্রতিবেদন আমি করিনি। এটি জেলা প্রতিনিধি করেছেন। আমাকে ফেসবুকে শেয়ার দিতে বলেন। তার চাপে আমি বাধ্য হয়ে শেয়ার দিয়েছি। পরে তা আবার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ডিলিট করেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, জুলাই আগস্টের গ্রাফিতি মুছন বিষয়ে আমি ও বিদ্যালয়ের সভাপতি কিছুই জানিনা। মুঞ্জু নামে ঐ কারিগরকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এর কোনো জবাব দিতে পারেনি। বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কাজটি করায় ইউএনও সহ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং নতুন আঙ্গিকে জুলাই আগস্টের গ্রাফিতি অঙ্কন করেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.শাহরিয়ার রহমান জানান, আমার নিকট থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য একটি বিশেষ গোষ্ঠী ও কতিপয় হলুদ সাংবাদিক বারবার আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। উপজেলার সাধারণ জনগণের কোনো অভিযোগ না থাকলেও আমার সম্মান হানি করার জন্য তারা মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করছে। সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে জুলাই আগস্টের গ্রাফিতি মুছন বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তারপরও আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মনগড়া ও বানোয়াট।