মো,দিল.সিরাজগঞ্জ;
সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ ও সলঙ্গার একাংশ ) আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান তালুকদার বার্ধক্যজনিত কারনে মারা গেছেন -(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ঢাকায় নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৯ বছর। মৃত্যুকালে তিন ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুর খবর ও তথ্য জানান, তার ছেলে রাহিদ মান্নান লেলিন এবং জেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ নিশ্চিত করেন। তারা বলেন, মরহুম আব্দুল মান্নান তালুকদার এঁর জানাজার সময় ও স্থান পরে জানানো হবে।
সাবেক এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এদিকে, জনপ্রিয় নেতা আব্দুল মান্নান তালুকদারের মৃত্যুর খবরে তার নির্বাচনী সহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে এবং এলাকায় সাধারণ জনগণের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর, স ম আফসার আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুর রহমান টুটুলসহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। জানা যায় যে, আব্দুল মান্নান তালুকদার তিনি ১৯৩৬ খ্রিঃ ২ মার্চ কাটার মহল পরগনার সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারের সন্তান রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের ধুবিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
আব্দুল মান্নান তালুকদার উক্ত আসন থেকে চার বার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) মনোনীত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
তিনি রায়গঞ্জের ধুবিল ইউনিয়নে ধুবিল গ্রামে এবং সিরাজগঞ্জ শহরের ধানবান্ধিতে বসবাস করতেন । ১৯৫৪খ্রিঃ মেট্রিক পাসের পর ভর্তি হন সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে। সে সময়েই ছাত্ররাজনীতিতে যুক্ত হয়ে কলেজ ছাত্র সংসদে সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি নিজ নামে ‘সোনালী আঁশ’ নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যা ১৯৬৬ খ্রিঃ থেকে ১৯৯০ খ্রিঃ পর্যন্ত সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়। একইসঙ্গে তিনি প্রথম শ্রেণীর একজন সফল ঠিকাদার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে দলে জড়িয়ে দলীয় কাজ করেন এবং ১৯৯১ খ্রিঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সিরাজগঞ্জ-৩ আসন থেকে জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এরপর ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ খ্রিঃ ষষ্ঠ, জুন ১৯৯৬ খ্রিঃ সপ্তম এবং ২০০১ খ্রিঃ অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরপর চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ ও ২০১৮ খ্রিঃ নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রহসনের একতফা জোরদখল নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। সাবেক এমপি মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদার সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ- তাড়াশ ও সলঙ্গার বিভিন্ন রাস্তাঘাট, ব্রীজ নির্মাণ, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সরকার -বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করেছেন এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করছেন তিনি যা এখন সাধারণ মানুষ মাঝে আলোচনা উঠেছে, প্রশংসা করেছেন সবাই