জসিম উদ্দিন, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ, শোক এবং আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য.
নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজুয়ানুল হক ফেসবুকে দেওয়া এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে লেখেন,
“ওদের হয়তো ফাঁসি হবে। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে বিস্ময়কর লাগছে, ওরা এই দুঃসাহস কীভাবে করল? জানের ভয় থাকলে তো কেউ এমন করে না। একেবারে প্রকাশ্য দিবালোকে, এত মানুষের সামনে ঘটনা ঘটল—তাও জুলাই মাসে!”
তিনি আরও লেখেন,
“জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরও হয়নি। ছাত্র জনতার বিপ্লবের কথা ভুলে গেছি? একটা মানুষও বাধা দিল না? বন্দুকের নলের মুখে আন্দোলন করা সাহস হুট করে কোথায় হারাল? এই হত্যাকাণ্ড ভিডিও করার চেয়ে বাধা দেওয়া জরুরি ছিল। হ্যাঁ, ওরা অমানুষ—তাতে সন্দেহ নেই। তবে আমরা আর কতটা মানুষ, সেটাও ভাবার বিষয়।”
পরবর্তী এক পোস্টে ড. রেজুয়ানুল হক লেখেন,
“ঐ ভিডিও আমি দেখিনি। আসলে দেখার সাহস হয়নি। তবুও ঘুম আসছে না। যারা দেখেছেন, তারা কীভাবে ঘুমাতে পারছেন?”
এ ঘটনায় নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন,
“একজন জীবন্ত মানুষকে হত্যার পর লাশের ওপর নৃত্য দেখে বাকরুদ্ধ বাংলাদেশ। কী ভয়ানক নৃশংসতা! ভিডিও দেখে এখনো ঘুমাতে পারছি না, চোখ থেকে এই দৃশ্য সরাতে পারছি না কোনোভাবেই। আমরা কি দিন দিন বিবেকহীন অমানুষে পরিণত হচ্ছি?”