রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকে ৯ জুলাই বুধবার প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। এক বিবৃতিতে দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে গড়ে ওঠা নতুন বাংলাদেশের এই করুণ চিত্র অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী, কিছু রাজনৈতিক পরিচয়ধারী দুর্বৃত্ত আবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এবং এতে স্থানীয় যুবদল নেতাদের নাম উঠে এসেছে, যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
এবি পার্টির নেতারা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল একটি সুবিচারভিত্তিক সমাজের। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অপরাধীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, এবং বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর একটি অংশ এখনো সেই পুরনো অপরাধচক্রের অংশ হয়ে আছে। নেতারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় হতাশা প্রকাশ করে বলেন, দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের প্রথম দায়িত্ব। অথচ রাজধানীর মতো নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট এলাকায় দিনে-দুপুরে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা প্রমাণ করে—প্রশাসন অপরাধ দমনে ব্যর্থ।
তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় নয়, অপরাধের ভিত্তিতে চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে সরকারের প্রতি জনআস্থা ধসে পড়বে এবং নতুন করে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে। তাঁরা সারাদেশে সমন্বিতভাবে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানান। এবি পার্টির পক্ষ থেকে নিহত মোহাম্মদ চাঁদ মিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। একইসঙ্গে তাঁরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয় এবং এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।