Shahriar Kabir, Paikgachha:
খুলনার পাইকগাছায় টানা ২৩ দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
উপজেলার গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘরবাড়ি, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি দপ্তরগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রামের অধিকাংশ রাস্তায় হাঁটুসমান পানি জমে আছে।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধানের বীজতলা, সবজি ক্ষেত, নার্সারি, মাছের ঘের ও ফলের চারা। গদাইপুরের কৃষক সামাদ গাজী জানান, তার কয়েক হাজার ফলের চারা পানির নিচে নষ্ট হয়ে গেছে।
পাইকগাছা পৌর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, অতিবৃষ্টির কারণে লোকজন বাজারে আসতে পারছে না। এতে বেচাকেনা বন্ধ প্রায়, এবং ঋণ পরিশোধ নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ভ্যানচালকরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে আয় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। দিনে এক-দুই ঘণ্টা কাজ করেও খুব সামান্য আয় হচ্ছে।
পানি নিষ্কাশনের পথগুলো বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অনেকেই অভিযোগ করছেন, ব্যক্তি স্বার্থে কেউ কেউ ড্রেন বন্ধ করে রাখায় পানি বের হতে পারছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. একরামুল হোসেন জানান, আমন বীজতলার ওপর বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে, তবে দ্রুত পানি সরে গেলে ক্ষতি কিছুটা এড়ানো যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন বলেন, স্লুইস গেট খোলা ও ড্রেন পরিষ্কার করার কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত পানি সরানোর মাধ্যমে মানুষের দুর্ভোগ কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।