Staff Correspondent:
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনার মধ্যেই বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত নয় বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, বিষয়টি “ওয়ান টু ওয়ান” নিগোশিয়েশনের মাধ্যমে নিরসনের চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন,
“যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ৮ জুলাই (আজ বুধবার) ইউএসটিআরের (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকের ফলাফলের পরই পরবর্তী অবস্থান স্পষ্ট হবে।”
শুধু শুল্ক নয়, রয়েছে নীতিগত জটিলতা
যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠকের জন্য অবস্থানরত বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন,
“এটি শুধু শুল্ক নয়, পুরো বাণিজ্যনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়। সমস্যা সমাধানে কেবল দুই দেশের মধ্যে আলোচনা নয়, প্রয়োজন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সংক্রান্ত নীতিমালায় পরিবর্তন। আমরা সেই দিকেই চিন্তা করছি।”
তিনি জানান, বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্য করে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অনুসরণ করেই। তাই এমন একতরফাভাবে বাড়তি শুল্ক আরোপ করা অবিচার এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৌশলী সমাধান চাচ্ছে।
শুল্ক আরোপ ও বাংলাদেশের বাজার পরিস্থিতি
চলতি বছর ২ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বব্যাপী ৫৭টি দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। তখন বাংলাদেশের ওপর শুল্ক নির্ধারিত হয় ৩৭ শতাংশ, যা পরে ৯ এপ্রিল তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। তবে চলমান আলোচনার মাঝেও নতুন করে ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যমতে, সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ১৮ শতাংশের বেশি। রপ্তানির ৮৭ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক, যার সঙ্গে রয়েছে চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, পরচুলা এবং হ্যাট বা ক্যাপ।
উৎপাদকদের উদ্বেগ ও সুপারিশ
বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন,
“যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। আমরা শুরু থেকেই সরকারকে এই ইস্যুতে গুরুত্ব দিয়ে দর-কষাকষির অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের এই বিষয়ে অন্ধকারে রাখা হয়েছে।”
He also said,
“আমরা চাই, দর-কষাকষির প্রক্রিয়ায় পেশাদার লবিস্ট নিয়োগ দেওয়া হোক এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদেরও আলোচনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হোক।”