সাইফুল ইসলাম বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মু শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন -জুলাই -আগস্টে যারা শহীদ হয়েছে সকলেই আমাদের শহীদ। শহীদরা কোন রাজনৈতিক দলের হতে পারে না। শহীদরা দেশের সম্পদ, বাংলাদেশের গর্ব, ১৮ কোটি মানুষের অহংকার। আওয়ামী লীগ ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিজেদের দলের পরিচয় দিয়ে শহীদদেরকে সম্মানিত করেনি বরং তাদেরকে অপমানিত করেছে। তিনি গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় জামায়াতে ইসলামী বাউফল উপজেলা কার্যালয়ে জুলাই আগস্ট এর শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময়, শহীদ স্মারক প্রদান ও মৌসুমী ফল উপহার প্রদান উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
উপজেলা জামায়াতে আমির মাওলানা মোঃ ইসহাক মিয়ার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা সেক্রেটারি মো: খালিদুর রহমান, জুলাই আগস্টের শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
ডঃ শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরো বলেন -আজ আমরা যে স্বস্তির,শান্তির ও মানবিক একটি বাংলাদেশ চেষ্টা করার প্লাটফর্ম পেয়েছি তার মূল অবদান আমাদের শহীদরা। শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে আমরা শুরু থেকে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেছি। যখন কোন ব্যবস্থা ছিল না তখন আমাদের প্রতিষ্ঠানের এম্বুলেন্স ব্যবহার করে শহীদ এবং আহত ভাইদের বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমিরে জামায়াতের নির্দেশে আমরা সকল শহিদ পরিবারের জন্য ২লক্ষ করে টাকা দিয়েছি এটা চলার জন্য কিছুই না তবুও সাময়িক সময়ের জন্য যাতে তারা ভালো থাকতে পারে।
আপনারা ভালো থাকলে গোটা বাংলাদেশ ভালো থাকবে। আপনাদের কলিজার টুকরা সন্তানকে, আপনাদের বাবাকে দেশের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছেন। আপনাদের দেবার আর কিছুই নাই বাংলাদেশ আপনাদের অনেক কিছু দেয়ার আছে। এরই অংশ হিসেবে আমিরে জামাতের নির্দেশে ১০০০ শহীদের তালিকা সম্বলিত দশ খন্ডের শহীদ স্মারক আপনাদের হাত তুলে দিলাম। জামায়াত শুধু বই দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেনি আমীরে জামায়াত শতাধিক শহীদ পরিবারের লেখাপড়া ও ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন।
ডক্টর মাসুদ আরো বলেন -এটা সরকারের দায়িত্ব ছিল। ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের তালিকা সরকার আজও প্রস্তুত করতে পারেনি। তারা রাজাকারের তালিকা তৈরি করেছিল কিন্তু বেশিরভাগই ছিল আওয়ামী লীগের। ৩৭জন খুঁজে পেয়েছে জামায়াতের। তার মধ্যে ৩৬ জন অনেক আগেই মারা গিয়েছে আর একজনকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এভাবেই তারা স্বাধীনতাকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে।
শহীদরা সেদিন শ্লোগান তুলেছিল We want justice, কিন্তু ন্যায় বিচার ইসলাম ছাড়া আর কেউ দিতে পারে না। শহীদদের রক্তের বদলা নিতে জন্য আমরা বাউফলকে একটি মানবিক, শান্তির ও মডেল বাউফল গড়তে চাই। এতে যদি আমাদের জীবন বাজি রাখতে হয় তাও আমাদের রাখতে হবে। তিনি শহীদদের পরিবারের যথাযথ দায়িত্ব পালনের জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান।