বিচারসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে আদালতের বিকেন্দ্রীকরণের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, “মামলার দীর্ঘসূত্রতা, খরচ এবং হয়রানি কমাতে উপজেলা পর্যায়ে বিচারিক কার্যক্রম প্রসারিত করতেই হবে। এতে বিচারপ্রার্থীদের সময় ও অর্থ বাঁচবে, আর বিচার পাওয়া তাদের একটি ন্যায্য অধিকার।”
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের দশম দিনের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক।
মঞ্জু বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে জনগণ কাঙ্ক্ষিত বিচারসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। মামলার জট নিরসনে বিকেন্দ্রীকরণ অপরিহার্য। আদালতগুলোতে অবকাঠামো, জনবল ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে তৃণমূল পর্যায়ে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই উপজেলা পর্যায়ে আদালত প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে এবি পার্টি পূর্ণ সমর্থন জানায়।”
সংলাপ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার সানী বলেন, “আমরা সবাই শিরোনামে একমত, কিন্তু বাস্তবায়ন পদ্ধতি, কার্যকারিতা ও সময়সীমা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে আদালত স্থাপনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেও, কতটি উপজেলায় এবং কোন কোন উপজেলায় এটা কার্যকর হবে কিংবা কতদিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে—এসব বিষয়ে একমত হওয়া যায়নি।”
তিনি আরও জানান, সংবিধানের ১৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বর্তমান নিয়মে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে থাকেন। রাজনৈতিক দলগুলো এ পদ্ধতিতে সংস্কারের বিষয়ে একমত হলেও বাস্তবায়নের রূপরেখা নির্ধারণে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
ব্যারিস্টার সানী বলেন, “মৌলিক বিষয়ে আমরা একমত হলেও, অভ্যন্তরীণ কাঠামো ও প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত থাকায় পুরো সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সকল রাজনৈতিক শক্তি একটি যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত সমাধানে পৌঁছাতে পারবে, যাতে জনগণের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত হয়।